ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে সন্দীপনার একুশের কর্মসূচী উদ্বোধন

১লা ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের সংগীত, নাটক, আবৃত্তি, চারুকলা, নৃত্য ও লোককলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে ৫ দিনের কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে (মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গন)। উদ্বোধনী কর্মসূচীতে ছিল- শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, হৃদয়ে মাতৃভাষা বাংলা জাগরূক রাখতে শপথ, উদ্বোধনী সংগীত, “সর্বস্থরে বাংলা ভাষা সুনিশ্চিত করার রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার ফলপ্রসু করা চাই” শীর্ষক আলোচনা সভা প্রভৃতি।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, বিশিষ্ট ব্যাংকার নুরুল আরশাদ চৌধুরী, চ.বি অধ্যাপক ড. দীপংকর শ্রী জ্ঞান বড়–য়া, প্রধান শিক্ষক কবি তরণী কুমার সেন, বর্ষিয়ান কবিয়াল আব্দুল লতিফ, সংগঠক প্রদীপ কুমার বড়–য়া আনন্দ, সংস্কৃতি সেবী মোহাম্মদ হোসেন, কবিয়াল হরিপদ দেয়ারী, প্রধান শিক্ষিকা সবিতা রানি বিশ^াস, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, নারী সংগঠক আবিদা সুলতানা,

নিবেদিতা আচার্য নাছিমা আক্তার, সাকিলা খানম, শিল্পী হানিফুল ইসলাম হানিফ, আঁখিরুন নেছা দিনা, শিল্পী দাশ, প্রীতি দাশ, মো: মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, শিল্পী বৃষ্টিদাশ, শিল্পী জ্যোতি শর্মা, হাসান সানি, মো: একরামুল হোসেন প্রমূখ। উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচির শুরুতে স্বাগত ভাষণ রাখেন সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাষ্কর ডি কে দাশ মামুন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, আজও এদেশে সর্বস্থরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি। মাতৃভাষাকে মাতৃস্তন্যের মত মর্যাদা আসনে ধারণ করতে না পারলে জাতির মৌলিক বোধ সমীক্ষা সাধন হবেনা।

বিদেশী ভাষার প্রয়োজনীয়তার কাছে মাতৃভাষার অপরিহার্যতাকে ম্লান করলে জাতি অগ্রগামী অভিযাত্রা বেগবান হবেনা। মাতৃভাষাকে মায়ের মমতায় হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। একমাত্র রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে শিক্ষা, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সকল দফতরে বাংলা ভাষার প্রচলনকে অনিবার্য করে তুলতে হবে। পাশাপাশি এই বাংলাদেশে আদিবাসীসহ অন্য সকলের মাতৃভাষাকে মর্যাদা দিয়ে রক্ষা করা পবিত্র দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সন্দীপনার কেন্দ্রীয় শিল্পিগণ সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। ৫ দিন ব্যাপী গৃহীত কর্মসূচিকে সফল করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বস্থরের জনসাধারণকে অনুরোধ জ্ঞাপন করা হয়।