ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিযান, জরিমানা ৩ লাখ

জেলায় অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স ও পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমনার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে জেলা প্রশাসনের চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের জহুর হকার্স মার্কেট ও আগ্রাবাদ এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগ্রাবাদ ও পতেঙ্গা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

এসময় ফায়ার সেফটি প্লান না থাকায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালকে ২ লাখ এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় টেক সোডাইস কর্পোরেশনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, নগরের কোতোয়ালীর জহুর হকার্স মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এই এলাকায় সিনেমা প্যালেস প্রান্ত থেকে শুরু করে নিউমার্কেট প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২০০টি ঝুঁকিপূর্ণ দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নেই। নেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রও। এজন্য মার্কেট কমিটিকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযানে নন্দনকানন ফায়ার স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী এবং ফায়ার ইন্সপেক্টর শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জহুর হকার্স মার্কেটের বৈদ্যুতিক লাইনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মার্কেট কমিটিকে ফায়ার সার্ভিস ও পিডিবি’র সঙ্গে সমন্বয় করে অবিলম্বে বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুঁকিমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। মার্কেটের ফায়ার এসেম্বলি এরিয়াতে পার্কিং এরিয়া তৈরি করে পুরো মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ করার দায়ে মার্কেট কমিটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স ও পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রসঙ্গত, জহুর হকার্স মার্কেটে ২০২১ সালেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঐ দুর্ঘটনার সুপারিশ মোতাবেক ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণের কথা থাকলেও এখনও এর কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।