ই-পেপার | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
×

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংসহ নানান অপরাধ রোধে র‌্যাবের রোবাষ্ট পেট্রোলিং

ডাকাতি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রোধে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাষ্ট পেট্রোলিং ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন প্রসংগে র‌্যাব জানান, কিশোর গ্যাং: সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের কর্মকান্ড একটি আলোচিত বিষয় এবং ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। অল্প বয়সী কিশোরেরাই এই সব গ্যাং বা গ্রুপের সদস্য। তারা পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের সংঘবন্ধ করে। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে এই সব গ্রুপের সদস্যরা ঝগড়া, মারামারি দিয়ে শুরু করে।

পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সন্ত্রাস, মাদক, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ইদানিং কিশোর গ্যাং অপরাধের সংখ্যা আশঙ্খাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাদের যে কোন কাজ সমাজের মানুষের জন্য যেন কোন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫০টি’র অধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। গত ছয় মাসে ৮-১০টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৩৩ জন সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

আধিপাত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা: কিছু কিছু এলাকায় অতি সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, মারামারি এমনকি হত্যার ঘটনা ঘটছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক। এগুলোর পিছনে রয়েছে আধিপাত্য বিস্তার। এসব ব্যাপারে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ডাবল মার্ডার, পতেঙ্গায় পান বিক্রেতাকে হত্যা, আনোয়ারা থানায় কলা পাতা নিয়ে ঝগড়া করে হত্যা, রাঙ্গুনিয়া থানায় এনজিও কর্মী কল্পনা চাকমাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, আনোয়ারা থানায় পাওনাদারকে আটকে রেখে হত্যা এবং এসব নৃশংস ঘটনায় মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র‌্যাব-৭।

মাদক: র‌্যাব-৭ কর্তৃক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের ফলে মাদকের বৃহৎ চালান উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে এবং মাদক সরবরাহ অনেক নিম্নপর্যায়ে আসলেও কিছু কিছু খুচরা মাদক কারবারী শহরের নির্জন ও পরিত্যাক্ত স্থান বা এলাকায় মাদক কেনা-বেচা করছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গি বাজার, বাকলিয়া, অলংকার, হালিশহর, পতেঙ্গাসহ শহরের ভিতরে এবং বাহিরে অনেক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা করছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ছয় মাসে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার পিস ইয়াবা, ২ হাজার ২ শত কেজি গাঁজাসহ বিপুল পরিমান দেশি এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।