ই-পেপার | সোমবার , ৬ মে, ২০২৪
×

সিন্ডিকেট নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংকট তৈরি হবে— বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন উক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে বিপদ আছে-কে বলেছে আমি জানি না। যখনই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে তখন আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে অবহিত করতে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না কে বলছে?

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে বিপদ আছে কে বলছে আমি জানি না। যখনই দ্রব্যমূল্য বাড়ে তখন আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না কে বলছে? এর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা বলা হলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব। গত ২৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাতে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন- এ কথা ঠিক যে বড় বড় গ্রুপগুলোই একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। কিন্তু, একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম, সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু, তাতে যে সংকটটা হঠাৎ করে তৈরি হয়, আমাদের তো সেটা সইতে কষ্ট হয়। আমরা চেষ্টা করি আলোচনার মাধ্যমে, নিয়মের মধ্যে থেকে কিছু করতে।

সংবাদ সম্মেলনে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউজ ব্যবসা করে। তারা যখন কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ায় আমরা তখন আমদানি করি। বিকল্প ব্যবস্থা করি, যাতে তারা বাধ্য হয়ে দাম কমায়। সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেই। সিন্ডিকেট থাকলে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না- এটা কোনো কথা না। কে কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না। এটা আমি দেখব। ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, আমি ছোটকালে দেখেছি, প্রথম শিম উঠলে কে কত টাকা দিয়ে কিনতে পারে প্রতিযোগিতা হতো। দুইদিন পরে তার দাম কমে যেত। বর্ষাকালের কাঁচা মরিচের দাম বাড়ে। এখন বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। শুকনো করে রেখে দেওয়া যায়। পেঁয়াজ শুকিয়ে রাখা যায়। প্রতিটা জিনিসের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। বর্ষাকালে শিম, গাজর, কাঁচা মরিচ পাওয়া যেত? এখন পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কৃষিবিদরা গবেষণা করে এখন ১২ মাস উৎপাদন করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের তরকারি এখন সুইজারল্যান্ডেও যাচ্ছে। আমাদের কিছু জিনিস বাইরে যাচ্ছে। আমরা যত উৎপাদন করতে পারব, আমাদের নির্ভরশীরতা যদি কমে, সিন্ডিকেট এমনিই ভেঙে যাবে। ওদের আর কিছু করা লাগবে না। সেজন্য বলছি এক টুকরো জমি যেন পতিত না থাকে। তিনি আরও বলেন,দেশের বাজারে ডিমের দাম যখন কমবে, তখন ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন। তাহলে বহুদিন ভালো থাকবে। ভর্তাও খাওয়া যায়। আমরা রাখি বলে বলছি।