ই-পেপার | বুধবার , ১ মে, ২০২৪
×

আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে থাকবে -তথ্য ও সম্প্রাচার মন্ত্রী

আমরা আমাদের স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছি, এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে জন্য ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির থেকে দেশকে রক্ষার সরকারি দলের দায়িত্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আমরা আমাদের কর্মীরা রাজপথ থেকে এ পার্যায়ে এসেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে থাকবে।

কাল (১০ ফেব্রুয়ারি), চট্টগ্রাম ফৌজদাহাট লিংক রোড মেরিন ড্রাইভে ফুল উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছেন। ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম শহর হবে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন, সেটির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়াল সড়ক হয়েছে, আরো হচ্ছে। বেটার্মিনাল নির্মানের কাজ চলমান, যেটির আয়তন হবে বর্তমান বন্দরের দ্বিগুণ।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর যখন পুরোপুরি চালু হবে তখন সেখানে ৩০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সুতরাং, প্রতিটি পরিকল্পনা এসব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি শহরকে নান্দনিক করতে হলে প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করতে হয়। তা সম্ভব না হলে শহর কনক্রিটের শহরে পরিনত হয়। চট্টগ্রামকে এখনো নান্দনিক রাখার সুযোগ রয়েছে। এসময় মন্ত্রী সকল উন্নয়ন কাজে সমন্বয়ের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহব্বান জনান।

এর আগে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, পত্রিকায় যদি সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করা হয়, তবে সেই পত্রিকা দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। পূর্বকোণ পত্রিকাটি তার সুদীর্ঘ পথচলায় সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করে আসছে। আশা করি ভবিষ্যতের পথ চলাতে পূর্বকোণ সেই প্রচেষ্টাকে আরো জোরদার করবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিভাগীয় কমিশনা ড. মোঃ আমিনুর রহামান, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ।

এ ফুল উৎসব উপভোগ করতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ ভীড় করে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।