ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

কর্মপরিবেশ নিয়ে শ্রমিক-মালিকরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটি গ্রহণ করাই সমীচীন হবে

ঢাকা অফিস ::

কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশ নিয়ে এ দেশের শ্রমিকরা ও নিয়োগদাতারা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটিই গ্রহণ করাই সমীচীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠক আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং শ্রম আইন নিয়ে আমরা যে-সব কাজ করছি, সেটার একটা ব্রিফিংয়ের জন্যই আজকের বৈঠকটি ছিল।

এটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। এ মন্ত্রণালয়কে কতটা গুরুত্বসহকারে দেখেন, সেটারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করবো, তারপর আমি সবকিছুর আলোচনা আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে করবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আপনাদের (সাংবাদিক) কোনো তথ্য দিতে পারবো না। কারণ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে সরকারপ্রধান, তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, তিনি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক। যে কারণে এ বিষয়ে তাকে আগে ব্রিফ করতে হবে।

শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ আরও ভালো হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন কিনা, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমার মনে হয়, বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনার পরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করতে যে মনোযোগ এই সরকার দিয়েছে, এ রকম নজির অন্য কোনো দেশে দেখানো কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল ১১ বছরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের জায়গায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং উন্নত হয়েছে। এ কারণে এ বিষয়ে কথা বলার আগে, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে শ্রমিকদের যে অবস্থা ছিল তার সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কী উন্নত হয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করেই তাদের (বিদেশিদের) কথা বলা উচিত।

থ্রেশহোল্ড (টেড্র ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আমরা একটি পরিবর্তন করেছি, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করবো। আমাদের দেশের শ্রমিকরা ও নিয়োগদাতারা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয়, সেটিই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।