ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

বিকট শব্দে ডুবে যায় নোঙর করা ফেরিটি

ঢাকা অফিস ::
জেলার পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কিছু দূরে নোঙর করা অবস্থায় রজনীগন্ধা নামের ফেরিতে বিকট শব্দ শোনা যায়। এরপর ফেরিতে পানি উঠতে থাকে এবং একটি সময় একদিকে কাত হয়ে সম্পূর্ণ ডুবে যায় এই ইউটিলিটি ফেরিটি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এভাবে ফেরিডুবির ঘটনার বর্ণনা দেন নৌ-পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিক।

তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিতে নয়টি পণ্যবোঝাই ট্রাক ছিল। ফেরিতে ভোরের দিকে প্রচণ্ড জোরে শব্দের পর থেকে পানি উঠতে থাকে এর ভেতর। তাৎক্ষণিক খবর পেয়েই নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে ফেরিতে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী পাটুরিয়া ঘাটের গাড়ির কাউন্টার কর্মরত শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলা লোকজনের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ফেরি ডুবে যাচ্ছে। তখন ট্রলার নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করি।

পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ট্রলারের চালক মামুন বলেন, আমরা সবাই পন্টুনের পাশেই চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি ফেরি ডুবে যাচ্ছে তখন বেশ কয়টি ট্রলার নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরির কাছে যাই। আমাদের একেকটি ট্রলারে করে দুই থেকে সাত/আটজন করে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসি।

ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানতে পারি ভোরের দিকে নোঙর করা ফেরি থেকে প্রচণ্ডরকমের শব্দ বের হয়। শব্দের পর থেকেই ফেরিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সম্পূর্ণ ফেরিটি ৫ নম্বর ঘাটের কিছু দূরে ৩০/৩৫ মিনিট সময় নিয়ে পানির নিচে ডুবে যায়। ফেরির ভেতরে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ফেরির একজন শুকানি হুমায়ুন কবীর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ফেরিটি উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে হামজা চলে এসেছে। যেখানে ফেরিটি ডুবে আছে সেখানে ৪১ মিটারের মতো পানি রয়েছে।

ফেরিটি পুরোনো; ওভারলোডের কারণে অতিরিক্ত চাপেই ফেরির নিচের কোনো একটি অংশ ফেটে গিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে যায় বলে ধারণা এই নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপারে।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট