ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

গণবিচ্ছিন্ন সরকারকে রক্ষায় যারা এখনো সক্রিয় তাদের বিবেক জাগ্রত হওয়া উচিৎ- জামায়াত নেতার তাহের

গণবিচ্ছিন্ন সরকারকে রক্ষায় যারা এখনো সক্রিয় তাদের বিবেক জাগ্রত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা.সৈয়দ আব্দুল্লহ মোহাম্মদ তাহের। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলন সঞ্চালন করেন চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড.আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ,চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ সহকারী সেক্রেটারীবৃন্দ। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ কখনোই এমন জটিল স পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি। এমন অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা আশংকার জন্ম দিলেও

আমাদের দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা নিতে হবে। যদিও বা সরকার ব্যাপক নিপীড়নের কারণে জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা প্রায়। জনগণ আর তাদের বিশ্বাস করে না। এই সরকার আজ শতভাগ আস্থার সংকটে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর ভোটারবিহীন ও নিশিরাতের নির্বাচনের পর এই সরকার বিশ্বব্যাপী আজ আস্থার সংকটে। দুনিয়াব্যাপী তারা আজ বন্ধুহীন। কেউ তাদের বিশ্বাস করে না। একটি গ্রহণযোগ্য,অংশগ্রহণ মূলক ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন আজ সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, আন্দোলনের ময়দানে চট্টগ্রাম সর্বাগ্রে অনবদ্য ভূমিকা রাখে। ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রামই সবসময় আন্দোলনের মাঠে অগ্রবর্তী ভূমিকা রেখেছিল। তাই আবারো চট্টগ্রামবাসীকে বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার আজ যেন তেন একটি নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও জনগণ তা মেনে নেবে না। দুনিয়াব্যাপী স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে দাবি আজ উঠেছে তা এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের গণদাবি। এই দাবি এ দেশের জনগণ আদায় করেই ছাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ

আজ গভীর সংকটে, পশ্চিমাদের ক্রমাগত চাপ অগ্রাহ্য করে সরকার যেভাবে একতরফা নির্বাচনের চিন্তা করছে তা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিলেও চরম সংকটে পড়বে এ দেশের জনগণ। ওরা দলীয় স্বার্থ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য আজ পাগলের মত আচরণ শুরু করেছে। দলীয় নেতাদের উশৃঙ্খল আচরণ ও নানান শিশু সূলভ মন্তব্য আজ হাস্যকর পর্যায়ে গড়িয়েছে। তাই দেশের বড় ক্ষতি হওয়ার আগে এই সরকারকে বিদায় করার জন্য এক প্রবল আন্দোলনের দিকেই আমাদের যেতে হবে। নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরো বলেন, জামায়াত ইসলামীর কর্মীদেরকেই সরকার পতন আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের এই আন্দোলনে জামায়াত কর্মীদের ভূমিকা হবে অনবদ্য এবং স্বৈরাচার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে।

কোন কিছুই আমাদের কর্মীদের এই দেশ রক্ষার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। যে কোন ত্যাগ এবং কুরবানী দেয়ার জন্য জামায়াত কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জামায়াত কর্মীরা আল্লাহর উপর ভরসা করে, তাই কোন ধরনের ভয় দেখিয়ে আমাদের বিচলিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে কাজ হবে না। জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ, ভালো-মন্দের মালিকও আল্লাহ। তাই সরকার নিপীড়ন ও ভয়ের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা আমাদের পদদলিত করে এগিয়ে যেতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই এই আন্দোলনের সমাপ্তি হবে,ইনশাআল্লাহ্ধসঢ়;‌।

সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে সর্বাত্মক গণ-আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব পালনে আরো মনোযোগী হতে হবে। একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণে নিজেকে তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের পুনর্জগরণের বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম সফলতা লাভ করেনি। ইনশাআল্লাহ জামায়াতের আন্দোলনের মাধ্যমে জালেম সরকারের পতন করে খুব শিগগিরই জনগণের সরকার কায়েম হবে।