ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৯ মার্চ, ২০২৪
×

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ

রাত পোহালেই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। সারাদেশ থেকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরাও ঢাকায় চলে এসেছেন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হবেন ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যথারীতি কাউন্সিলরদের ভোটের পরিবর্তে এবারও তিনি নেতৃত্ব বাছাই করবেন।

রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনসহ নানাবিধ কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতীম এ ছাত্র সংগঠনের এবারের নতুন নেতৃত্বের দিকে বিশেষ নজর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন, সেটির চূড়ান্ত নির্ধারক শেখ হাসিনা হলেও এ নিয়ে দলের অন্য নেতা ও রাজনৈতিক মহলে আগ্রহের কমতি নেই।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্তসহ ফরম জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন। তাদের মধ্যে অনেকে উভয় পদেও ফরম জমা দিয়েছেন।

সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।

শীর্ষ পদে আসতে সক্রিয় যারা
স্বভাবত ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে ব্যক্তির নেতৃত্বের যোগ্যতার পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়। যে কারণে সম্মেলন এলে আঞ্চলিক প্রার্থীদেরও তোড়জোর দেখা যায়। এবারও ফরিদপুর, বরিশাল, উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের অনেক প্রার্থী সক্রিয় আছেন। কথিত আছে- ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সবসময় নেতৃত্ব থাকেই।

তবে এবার অঞ্চল ছাপিয়ে করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে ছাত্রদের পাশে থাকা নেতারা বেশি আলোচনায়। এর মধ্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’ দিয়ে সারাদেশের প্রশংসা কুড়ানো সাদ বিন কাদের চৌধুরী, অনলবর্ষী বক্তাখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং করোনায় ঢাবি ক্যাম্পাসে শ্রমজীবী মানুষকে খাবার দিয়ে প্রশংসিত তানভীর হাসান সৈকত আছেন আলোচনায়।

এছাড়াও এবার ফরিদপুর বিভাগ থেকে আছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান।

বরিশাল বিভাগ থেকে আছেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন ও ইয়াজ আল রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আছেন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, উপ-সাহিত্য সম্পাদক জয়দীপ দত্ত (জয়জিৎ), উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সহ-সম্পাদক আনফাল সরকার পমন ও মো. সোহরাব হোসেন শাকিল।

খুলনা বিভাগ থেকে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন।

ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সহ-সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী আছেন আলোচনায়।

উত্তরবঙ্গ থেকে আছেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু ও ক্রীড়া সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিকী সুজন।

এছাড়া আলোচনায় থাকা অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করা তিলোত্তমা শিকদার, শামীম পারভেজ, এহসান উল্লাহ পিয়াল, ইমরান জমাদ্দার, নিশাদ সাদিয়া খান মিলি, আল আমিন সুজন, এম এ সোহাগ, আহসান হাবীব, আবু মুছা, সুরাপ মিয়া সোহাগ ও আশরাফুল ইসলাম ফাহাদ।

কেন শীর্ষ পদের দাবিদার, নির্বাচিত হলে কী করবেন?

ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের কাছে প্রশ্ন ছিল- ‘কী কারণে আপনি শীর্ষ পদের দাবিদার, নির্বাচিত হলে কী কী করবেন?’ জবাবে তারা প্রায় সবাই বলছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।

সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে থেকে কাজ করেছি। বিশেষত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার ছিলাম। করোনাকালেও নেত্রীর নির্দেশনায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি, অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। আমি মনে করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন ও রাজনৈতিক দর্শনকে যারা ধারণ করবেন তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আসা উচিত।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবিরোধী সব অপশক্তিকে মোকাবিলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয় পদে ফরম দাখিল করা বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, স্কুলজীবন থেকে টানা ১৫ বছর ছাত্র রাজনীতিতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে হলে পদ নিয়েছি। বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য প্রতিরোধসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকেছি। দায়িত্ব পেলে আগামী দিনেও নেত্রী এবং সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করবো, ইনশাআল্লাহ্।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, সম্মেলন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়। সেটিকে প্রাণবন্ত করতে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়; আমরা অনেকে সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থী হই। মূলত, সংগঠনের কর্মী হওয়া অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। পদ-পদবির বিষয়টি নিয়ে এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খুব বেশি চিন্তা করেন না। সব চাওয়া-পাওয়ার হিসাব উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা কাজ করে যাবে, এটাই ছাত্রলীগের নিদর্শন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি যে নেতৃত্ব বাছাই করবেন সারাদেশের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সে নেতৃত্ব বরণ করে নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেন, যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারিতে বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকেছেন। শ্রমিক সংকটে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করেছেন, কোভিড রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন’ সেবা চালু করেছেন, সংকটাপন্ন মানুষের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ রাজপথের পাশাপাশি সময়কে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারণ করে।

সাদ বিন কাদের চৌধুরী মনে করেন, আগামী দিনে এই সংগঠনের যারাই নেতৃত্বে আসুক তাদের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আগামীর নেতৃত্ব ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উপড়ে ফেলতে কাজ করবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার যে ষড়যন্ত্র করছে, সেটির মোকাবিলায় তৃণমূল ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে নতুন নেতৃত্ব কাজ করবে।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয় পদে প্রার্থী হওয়া বিদায়ী কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমদ রাসেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন এবং বঙ্গবন্ধু তনয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিতে প্রস্তুত আমি, সে কারণেই শীর্ষ পদের দাবিদার হিসেবে প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দিতে এসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দর্শনকে বোঝার চেষ্টা করবো, ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবস্তরের নেতাকর্মীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে এবং বঙ্গবন্ধু তনয়ার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন তাছাড়াও কর্মীদের আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের মধ্যে নবোদ্যোগে কাজ করে যাওয়ার প্রেরণা জোগাতে সহযোগিতা করে যাবো। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অক্ষুণ্ন গৌরব ফিরিয়ে এনে সাংগঠনিকভাবে সংগঠনকে আরও বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো।

সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন বলেন, নীতি ও নেত্রীর প্রশ্নে আপসহীন এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন, উদার গণতান্ত্রিক দেশের উপযোগী দক্ষ ছাত্রসমাজ গড়ার সংগ্রামে দক্ষ, সৃজনশীল, সংস্কৃতিমনা, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াকু বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আশা করি। পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্রলীগকে ঢেলে সাজানো, একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার উপযোগী ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি করা দরকার।

সভাপতি প্রার্থী এহসান পিয়াল বলেন, জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ভিশন-২০৪১ ছাড়াও আগামীর উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যেতে চাই। এ জন্যই আমি সভাপতি পদের দাবিদার।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী শাহেদ খান বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এরই ধারাবাহিকতায় হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। আমি মনে করি, আমার অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে আমাকে যে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি বঙ্গবন্ধু এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমাকে দায়িত্ব দিলে ছাত্রলীগকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাংগঠনিকভাবে সংগঠনকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চাঙ্গা করতে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নেবো। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো। যেন আগামীর বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ছাত্রলীগ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনটির সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি এ দুজন ‘ভারমুক্ত’ হন।