ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

সাঈদীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত বিএনপি

বিএনপি মহাসচিব তার শোকবার্তায় বলেছেন, সাঈদীর মৃত্যু ‘স্বৈরশাসনের এক নির্দয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তাদের এক সময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলাদা শোকবার্তায় এই জামায়াত নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে দুটি বিবৃতি দলীয় প্যাডে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

মির্জা ফখরুলের শোক বার্তায় বলা হয়, কারাবন্দি অবস্থায় সাঈদীর মৃত্যু ‘গভীর শোকাবহ’। তার মৃত্যু ‘স্বৈরশাসনের এক নির্দয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে।

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ‘হার্ট অ্যাটাকে’ তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান রাতে সংবাদিকদের জানান। 

একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ওই তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।