ই-পেপার | বুধবার , ১ মে, ২০২৪
×

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন- বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মুখে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, সিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, জেলা শিশু একাডেমি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, এলজিইডি, বিআরটিএ ও খাদ্য বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সকাল সোয়া ১১টা থেকে আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারী প্রদর্শন ও শেষে ৫০ জন অস্বচ্ছল নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, সিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকবির আহম্মদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তানভীর আল-নাসিব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের পদস্থ কর্মকর্তা-প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা দল, দলের নেতা কর্মী ও পরিবারকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বঙ্গমাতার যে অসামান্য অবদান তা ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী, পরবর্তী ও আজকের বাংলাদেশে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিটি পরিবারের নারীদেরকে বঙ্গমাতার ন্যয় দেশাত্ববোধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ লালন করতে অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আগামী প্রজন্মকে অনুরোধ জানাবো যেন বঙ্গমাতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে। প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা দিয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার। আমরা তাঁর নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ করে যাব এবং দেশকে সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করব। গুজব বা অপপ্রচারকারীরা কিন্তু থেমে নেই। তারা বিভিন্নভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।