ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

পতাকা মিছিলে খোরশেদ আলম সুজনের সংবিধান মোতাবেক জাতীয় নির্বাচনের দাবী

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙা সংবিধান মোতাবেক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ রবিবার (২৩ জুলাই ২০২৩ইং) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ কনভেনশন হল থেকে ছোটপুল পর্যন্ত আমরা করবো জয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল পতাকা মিছিলে উক্ত দাবী জানান তিনি।

এ সময় সুজন বলেন ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি জাতীয় পতাকা এবং একটি পবিত্র সংবিধান অর্জন করেছে। একটি রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র দিকনির্দেশনা হচ্ছে সংবিধান। একটি জাতির জীবনধারা পরিচালিত হয় সংবিধানকে কেন্দ্র করেই। ঠিক তেমনি ভাবে আগামী নির্বাচনও কিভাবে হবে সেটার স্পষ্ট উল্লেখ আছে আমাদের পবিত্র সংবিধানে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবিধানের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারাই সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মায়া কান্না শুরু করেছে।

যারা সংবিধানকে স্থগিত করে নতুন কোন পন্থায় নির্বাচনের দাবী করে তারা ১৯৫৮ সালের আইয়ুব খানের প্রেতাত্মা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সুজন আরো বলেন অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখন আসন্ন, যখন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ঠিক সেই মূহুর্তে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি-জামায়াত চক্রটি। তারা একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা থেকে হঠাতে চায়।

কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য কোনভাবেই সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন বিএনপি-জামায়াত চক্রটি প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন জায়গায় সমাবেশের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছে। তাদেরকে কোনভাবেই জনগনের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না হুশিয়ারি উচ্চারন করে সুজন বলেন একটি সরকারের পরিবর্তন নির্ভর করছে অবশ্যই নির্বাচনের উপর। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ আমাদের সংবিধানে উল্লেখ নেই। তারপরও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিনিয়ত সরকারকে হুমকি ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। যারা এসব করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু, তারা পবিত্র সংবিধানের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান জানান তিনি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন যাদের দেহ এদেশে, আর আত্মা অন্যদেশে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তারা সরকারের আপন সেজে নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন সুজন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছে এবং থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। পতাকা মিছিলের পূর্বে দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিলে আগ্রাবাদ এলাকা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মিছিলটি যখন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে মূল সড়কে উঠে তখন পুরো রাস্তাটিই একটি জাতীয় পতাকাতে পরিণত হয়। মিছিলের সম্মূখভাবে বিশাল জাতীয় পতাকায় সড়কটি আচ্ছাদিত হয়ে উঠে। পাশাপাশি মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। সুজনের সাথে হাজারো জনতার কন্ঠে ধ্বনিত হয় সংবিধানকে এগিয়ে নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। কোন বাধায় বাধা না, নেত্রী যখন শেখ হাসিনা। কোন বাধায় থামবে না, মোদের নেত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার দুশমনেরা হুশিয়ার সাবধান।

পতাকা মিছিলপূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান হাসান আহম্মেদ ইমুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় সদস্য মিটুল দাশগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কাউন্সিলর আতাউল্ল্যাহ চৌধুরী, রুহুল আমিন তপন, আব্দুর রহমান মিয়া, মো. ইউনুছ, জহির উদ্দিন মো. বাবর, সাবেক ছাত্রনেতা শওকত হোসাইন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, মো. সালাউদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, নুরুল কবির, আজম খান, কুতুব উদ্দিন, মো. ইলিয়াছ, রেজাউল করিম ইরান, সাজ্জাদ হোসেন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, আবুল হাসান সৈকত, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, কাউন্সিলর নীলু নাগ, জমির উদ্দিন মাসুদ, সমীর মহাজন লিটন, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, মো. ওয়াসিম, আশিকুন্নবী চৌধুরী, পাভেল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নাঈম রনি, আ ফ ম সাইফুদ্দিন, নোমান চৌধুরী, শওকত আলী রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কলেজ ছাত্রলীগ, থানা ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।