ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

ব্রয়লার মুরগি,মাংস-ডিমের দাম বেড়েছে

বাজারে দাম বেড়েছে গরু ও খাসির মাংস, মুরগি ও ডিমের, এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে দুইশ টাকা ছুঁয়েছে। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের-১১ নম্বর বাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।

এদিন বাজারে আকার ভেদে প্রতি পিস পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা ৯০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৬০-৭০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৭০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচ কলার হালি ২০-৩০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রফিক বলেন, বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। দুই-একটি সবজির দাম বেশি। বাকী সব ধরনের সবজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, রসুন ১২০-১৫০ টাকা, দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা, চায়না আদা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা আর আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

এছাড়া খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। তরব প্যাকেট আটার দাম কমেছে। প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা। আর দেশি মসুরের ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা আর লবনের কেজি বিক্রি ৩৮-৪০ টাকা।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩২ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

মিরপুর -১১ নম্বর বাজারের বিক্রেতা মো. শুক্কুর আলী বলেন, ডিমের দাম আবার বেড়েছে। লাল ফার্মের মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৪ টাকা। উৎপাদন কম ও চাহিদা থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে।

বেড়েছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা, আর লেয়ার মুরগির কেজি ২৯০-৩০০ টাকা।

এই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. করিম বলেন, হঠাৎ করেই বেড়েছে মুরগির দাম। মূলত খাবারের মূল্য ও বাচ্চা মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মুরগির দাম।

আরেক দফা বড়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের দামও বেড়েছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।

মাংস বিক্রেতা আরমান হোসেন বলেন, চার পাঁচ দিনের মধ্যে দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। ক্রেতা ভেদে কমবেশি দাম রাখা হচ্ছে। খামারিরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বেশি রাখা হচ্ছে।