ই-পেপার | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
×

দেশের দুর্গম দ্বীপে ‘স্মার্ট আইল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠায় দ. কোরিয়ার আগ্রহ

ঢাকা অফিস :

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে স্মার্ট আইল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ কোরিয়ার গিগা আইল্যান্ডের আদলে দুর্গম দ্বীপে স্মার্ট আইল্যান্ডে বিনিয়োগের এ আগ্রহের কথা জানান।  

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দক্ষিণ কোরিয়া। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী দিনে এ সম্পর্ক আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। জ্ঞান বিনিময়, উদ্ভাবন, স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরও সুযোগ রয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় গত ১৫ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগের অতি আকর্ষণীয় খাতে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি দেশ।  

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগবান্ধব নীতির এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে বিশেষ করে স্মার্ট ডাক সেবা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য ভূমিকা গ্রহণে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আইসিটি বিষয়ে বাংলাদেশ কোরিয়া সামিট অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, গত এক দশক আগের বাংলাদেশ এবং আজকের বাংলাদেশ অভাবনীয়।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট