ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

মধুমতী ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন: প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতী সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১০ অক্টোবর ) তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুগুলো উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগকে আরও সহজ, দ্রুত ও সহজলভ্য করার পাশাপাশি সেতুগুলো ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতী নদীর ওপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগ-সুবিধা পাবেন। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে আনবে।

২৭ দশমিক ১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চগতির লেন ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে। এটিই দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু।

আর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুটি নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে। সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন।

দুটি সেতুই সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের। মধুমতি সেতু খুলে দেওয়া হলে নড়াইল যশোরসহ এ অঞ্চলের মানুষদের সড়কপথে সরাসরি ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। আর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ২০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে আনবে বলে আশা করছে সরকার।