শিরোনাম
এম,নুরুদ্দোজা,চকরিয়া: | ০৬:১৯ পিএম, ২০২০-১০-০৭
কক্সবাজারের পেকুয়া-মগনামা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ। কিছু দিন পর পর দেখা মিলছে বিরাট আকারের গর্ত। সড়ক আর সড়ক নেই, এখন রূপ নিয়েছে মরণ ফাঁদে। পেকুয়া উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে সড়কের এ বেহাল দশা । সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বরইতলি-পেকুয়া-মগনামা সড়কের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চৌমুহনী স্টেশন, আন্নর আলী মাতবর পাড়া, সাবেক গুলদি স্টেশন ও চৈরভাঙা এলাকায় তিন কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। এই গর্তগুলো মাড়িয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। গর্তে পড়ে প্রায় সময় উল্টে যাচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন । এছাড়া ও পণ্যবাহী ট্রাক গর্তে আটকে নিত্যদিন তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এতে করে সড়কে যাতায়াত করা মানুষজন পড়ছে চরম দুর্ভোগে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের চলাচলের অন্যতম পথ বরইতলি-পেকুয়া-মগনামা সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত বিশ হাজার মানুষ চলাচল করেন। পরিবহন করা হয় পেকুয়ায় উৎপাদিত লবণ, চিংড়ি ও সাগর থেকে আহরিত মাছ। চকরিয়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সাথে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই সড়কটি । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সড়কটির এ বেহাল দশা। গাড়ি চলাচল ব্যাহত হবার পাশাপাশি কাঁদাজল মাড়িয়ে এ সড়কে হাটাও এখন দায়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এ নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তাই নিরুপায় হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা সড়কটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। সড়কের এমন বেহাল দশার ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের পিছ ওঠে যেতে শুরু করে। সে সময় থেকে আমরা সড়কের এসব অংশ সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। তাই সড়কের এসব গর্ত এখন পুকুরে রূপান্তরিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে যাত্রীরা এ পথে আর আসতে চায় না। এছাড়া সড়কে যানবাহন নিয়ে আসলেই গাড়ির ক্ষতি অবধারিত। যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে যায় গাড়ি মেরামতে। ইতিমধ্যে এ সড়কে লবণবাহী ২০-৩০টি ট্রাক গর্তে আটকে পড়ে। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি ও জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। তাই এখন লবণ পরিবহন প্রায় বন্ধ রয়েছে। এতে মজুদকৃত লবণ পরিবহন করতে না পেরে চাষি ও ব্যবসায়ী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ যথাসময়ে পরিবহন করা না গেলে, সব লবণ পানিতে পরিণত হবে। চৌমুহনী স্টেশন থেকে চৈরভাঙা স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে হয় বড়সড় দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে। কখন জানি গাড়ি উল্টে যায়। দুই উপজেলার বাসিন্দাদের ভোগান্তি লাঘবে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মগনামা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন সাবমেরিন নৌঘাঁটি ও মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংযোগ লাইনের বৈদ্যুতিক খুঁটি নির্মাণের পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত বড় বড় ট্রাক লরি গুলো এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। অত্যন্ত ভারী এসব গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কে এসব খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ইট বালি দিয়ে বেশ কয়েকবার এসব মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পর আবার গর্ত সৃষ্টি হয়ে যায়। সড়কটির টেকসই মেরামতের জন্য আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অনুরোধ করেছি।
লোহাগাড়া প্রতিনিধি : : লোহাগাড়া প্রতিনিধি :: সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার তালিকাভুক্ত দুঃস্থ-দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ...বিস্তারিত
চন্দনাইশ প্রতিনিধি : : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। ...বিস্তারিত
পটিয়া প্রতিনিধি : : পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি । চতুর্থধাপের এই নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর সম্ভাব্য ...বিস্তারিত
লোহাগাড়া প্রতিনিধি : : লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গ...বিস্তারিত
মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, চন্দনাইশ : : আসন্ন ১৪ই ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্য...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বোয়ালখালী উপজেলায় এনজিও'র নামে গ্রামের নারীদের কাছ অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগে দুই প্রতা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited