শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪:২১ পিএম, ২০২১-০১-০৯
পাহাড় দখলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল নগরের আকবরশাহ এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নুর আলম প্রকাশ নুরুর অপরাধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি। পাহাড় দখল, পাহাড় কাটা, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় বিস্তৃত করেছিল তার সাম্রাজ্য।
আকবরশাহ থানাধীন নাছিয়াঘোনা এলাকায় তৈরি করেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তার বাহিনীতে সক্রিয় সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। তারা নুরুর নির্দেশে তার অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করতো। শনিবার (৯ জানুয়ারি) নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ। সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, মো. নুর আলম প্রকাশ নুরু ডাকাত এক সময় ফয়’জ লেক রিসোর্টে কর্মচারী ছিল। সেখান থেকে একসময় পাহাড় দখল শুরু করে নুরু। পরে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি শুরু করে। ফয়’জ লেক, আকবরশাহ কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, নুরু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। একটি বাহিনীও তৈরি করে নুরু। তার বাহিনীতে সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আকবরশাহ এলাকায় তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত ছিল।
এক বছরেও সাজা পরোয়ানা পৌঁছেনি থানায়!
২০১৪ সালে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে ১৭ বছরের সাজা হয় মো. নুর আলম নুরুর। কিন্তু এক বছরেও তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা আকবরশাহ থানায় পৌঁছেনি আদালত থেকে। উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, অস্ত্র মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক ছিল নুরু। পরে তার অনুপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আকবরশাহ থানা পুলিশ নুরুর সাজার বিষয়ে জানতো না। বিষয়টি জানাজানির পর তিনদিন আগে নুরুর সাজা পরোয়ানা থানায় পৌঁছে। সাজা পরোয়ানা কেন এক বছরেও থানায় পৌঁছেনি তা নিয়ে তদন্ত চলবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে। সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে মো. নুর আলম নুরু ও তার সহযোগী কাউছারকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি অস্ত্র, দুইটি কিরিচ, একটি রাম দা ও ৪০০ পিস ইয়াবা। আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার নুর আলম প্রকাশ নুরুর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। নুরু আকবরশাহ থানাধীন এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সম্প্রতি নুরুকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার বাহিনী। পরে অভিযানে নুরুর ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধরা ছিল সে। ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মনজুর মোরশেদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-পশ্চিম) আবুল কালাম শাহিন, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন, গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর ঘাট কর্ণফুলী নদীর চর ঘেঁষে প্রতিদিন কাটা হচ্ছে ছোট-বড় জাহাজ ও ভ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বহদ্দারহাট, বলিরহাট, ঘাসিয়া পাড়া, খাজা রোড এলাকায় গণসংযোগ করেছেন চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিয...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মেয়র ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৭৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ জন। এ নি...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারই বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদার এর ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হও...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited