শিরোনাম
মো. আকতার হোছাইন কুতুবী, কক্সবাজার :: | ০৩:০৩ পিএম, ২০২০-১২-১৯
কক্সবাজার কাস্টমস একসাইজ ও ভ্যাট কক্সবাজার বিভাগ ও কক্সবাজার সার্কেলের কর্মকর্তাদের ঘুষের মহৌৎসব চলছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
জানা যায়, কক্সবাজার বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পাল ও রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী সিকদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ আবু রাসেল, তৌফিক আহমেদের যোগসাজসে অফিসটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে।
প্রতি বছর পর্যটক সমবেত হওয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে যুগ যুগ ধরে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে বছরে একবার হলেও কক্সবাজার বেড়াতে আসে পর্যটকরা ও ভ্রমণ পিপাসুরা।
বিগত ২০১৯ সালের মার্চ-২০২০ হতে ১৬ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত সময়ে কোভিড-১৯ নামীয় মহামারীর প্রকোপ থাকায় পর্যটন নগরীতে কোন ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন নি অর্থাৎ প্রায় ৬ মাস ধরে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়। ফলে এই অঞ্চলে মানুষ দীর্ঘদিন থেমে থাকা ব্যবসা বাণিজ্য পুনরায় সচল করার প্রয়াসে আশার বুক বেঁধেছিল। কিন্তু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে কক্সবাজার এশিয়ান হাইওয়ে রোড এর কার্পেটিং কাজ করানোর পূর্বে অর্থাৎ ডিসেম্বর-২০১৯ সময়ে আরম্ভ করা হয়। ফলে কলাতলী মোড় থেকে লিংকরোড এবং কলাতলী প্রধান সড়কের নালার সম্প্রসারণ কাজ হাতে নেওয়ায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বড় বড় গর্ত এর ন্যায় নালার কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্ষা এসে যাওয়ায় এবং কোভিড-১৯ চলমান থাকায় কক্সবাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় যা বর্তমানেও চলমান আছে। কিন্তু যে সকল হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকগণ নভেম্বর-২০ হতে ডিসেম্বর-২০ ও জানু-২০ ও ফেব্রুয়ারি-২০ সাথে কিছু পর্যটকের পাওয়ার আশায় প্রতিষ্ঠান সমূহ পুনরায় ইনোভেশন করে চালু করার প্রয়াস গ্রহণ করেছে। এই সময়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রিভেন্টিভ টিম এর নাম ভাঙ্গিয়ে ভ্যাট এর নাম দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। আরও একটা বিষয় লক্ষনীয় যে সুশান্ত পাল ৩০তম বিসিএস এর স্থান অধিকারী হয়ে নিজেকে একজন সাম্যবাদী সহজ সরল ও বিদ্ব্যান ব্যক্তিত্ব ও উদার মনোভাবাপন্ন লোক হিসেবে দাবি করেন এবং ফেইসবুকে সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দেয়। তার সিন্ডিকেটের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি প্রিভেন্টিভ টিম গঠন করেন। পরে বিভিন্ন ভাল ভাল থ্রি স্টার মানের হোটেল প্রতিষ্ঠানসহ যে সকল প্রতিষ্ঠানের ৫০/৬০টি রুম আছে এবং সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে তাদেরকে টার্গেট করে কমিশনারের দোহাই দিয়ে খাতাপত্র, রেকর্ডপত্র পিসি নিয়ে আসে। তার পরের দিন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে সব্যসাচী সিকদার রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে ডেকে পাঠায়। তারপর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সাথে ঘুষ নিয়ে দফরফা হয়। পরে টাকা পয়সা নিয়ে খাতাপত্র ছেড়ে দেয়।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার পর্যটন নগরীতে কটেজ এবং আবাসিক হোটেলসহ ৪শ টির অধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু ভ্যাট প্রদান করেন মাত্র ৮০/১১০টি প্রতিষ্ঠান। ভ্যাট কর্মকর্তাদের চরম দুর্নীতির কারণে অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহ থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদেরকে ভ্যাট নিবন্ধন ব্যাতিরেকে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। একইভাবে রেস্টুরেন্ট তালিকাভুক্ত আছে ১২২টি। তার মধ্যে নিয়মিত ভ্যাট দেন ৭০টি প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহ দু’তিন মাস পরপর নামমাত্র ভ্যাট প্রদান করে থাকেন। (তাদের ভ্যাট প্রদান মাত্র ১ থেকে ৫ হাজার টাকা) এসব রেস্টুন্টে থেকে মাসোহারা নিয়ে প্রতিমাসে ভ্যাট প্রদানে বাধ্য করে না। বলতে গেলে তাদের সাথে আতাঁত করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ব্যবসায়ীরা।
ভ্যাট অনলাইনে রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, ৯৬৬টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান অনলাইনে নিবন্ধিত রয়েছে। তার মধ্যে আনুমানিক ৩৫০/৩৬০ টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট প্রদান করেন। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে মাত্র ১৭% প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রির্টান দাখিল করেন। ভ্যাট অনলাইনে নিবন্ধনযোগ্য কক্সবাজার সার্কেলের আওতাধীন প্রায় ১২ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন ও রাজস্ব প্রদান ব্যতিরেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
সূত্র আরো জানায়, কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনেসহ বিভিন্ন এলাকায় অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ১৩০টি (যারা ভ্যাটের আওতায় অন্তর্ভুক্ত নয়)। রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি এ তালিকা প্রদান করলেও ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক ভ্যাট নিবন্ধন করা হয়। আর বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আসে নাই। এছাড়া এ ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন হওয়ার পরও এখনো প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট প্রদান করা শুরু করেনি। এছাড়া কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতির প্লটের আওতায় কটেজসহ ১১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঐ কটেজসমূহ একতলা থেকে ৪তলা বিশিষ্ট। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, ভ্যাট কর্মকর্তাদের চিরচারিত ঘুষ, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তারাও সরকারকে এখন ভ্যাট প্রদান করছে না। নামমাত্র অনিয়মিতভাবে দু’চার পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট প্রদান করছেন। তাও অপ্রতুল।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত হোটেল ভর্তি গেস্ট নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার পরও রাজস্ব কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক মাসোহারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বিডিআর ক্যাম্প থেকে ঝাউতলার গ্রিনলাইনের কাউন্টার পর্যন্ত অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ডিলার হিসেবে পরিচিত। তাদের মধ্যে রয়েছে মার্কস দুধ, ইলেকট্রনিক্স ডিস্ট্রিবিউটর, স্যানিটারি আইটেমস ডিস্ট্রিবিউটর, বিভিন্ন কোম্পানির রঙের ডিস্ট্রিবিউটর, মোটর সাইকেলের শো-রুম, সিমেন্ট কোম্পানি এবং নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান। ঐ সকল প্রতিষ্ঠান ২০১৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত প্যাকেজ ভ্যাট প্রদান করতো। কিন্তু সরকার ২০১৯-২০ প্যাকেজ ভ্যাট বন্ধ করে দেয়ায় তারা কোন ভ্যাট প্রদান করেনি। সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে রাজার হালে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। শুধুমাত্র দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর সব্যাসাচীর সিন্ডিকেটের মাসোহারা বাণিজ্যের কারণে।
শহরের বাজারঘাটা থেকে কালুর দোকান হয়ে বিডিআর ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় ১২শ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে গত অর্থবছরের (২০১৯-২০), চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) সর্বোচ্চ ২০/৩০টি প্রতিষ্ঠান নামমাত্র ১ থেকে দেড় হাজার টাকা ভ্যাট প্রদান করেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অদৃশ্য কারণে ভ্যাটের আওতায় আনা হয়নি।
জানা যায়, ভ্যাট কর্মকর্তারা মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে জরীপ করে মাসিক উৎকোচের বিনিময়ে এ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের এমন দুর্নীতির কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
আরো জানা যায়, ৮ লক্ষ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে “এম.ভি. কর্ণফুলী” ফেব্রুয়ারি/২০ ও মার্চ/২০ মাসে জাহাজ চালু করলেও ডি. সি. সুশান্ত পাল তাদেরকে ফেব্রুয়ারি/২০ ও মার্চ/২০ মাসের ভ্যাট মওকুফ করে দেন এবং অক্টো/২০ মাসে প্রতিদিন জাহাজ সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসা করে। প্রতিদিন গড়ে ৭শ থেকে ৮শ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। কমপক্ষে দৈনিক ৫শ যাত্রী হিসেব করা হলেও প্রতি যাত্রী থেকে ২ হাজার টাকা ভাড়া হিসাব করা হলে আলোচ্য মাসে টার্ন-ওভার প্রায় ৩ কোটি টাকা। সেই ৩ কোটি টাকা থেকে ভ্যাট আসে ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু
কাস্টমস কর্মকর্তাদের তেলেসমাটিতে ৮ লক্ষ টাকা ভ্যাট দেন। বাকি টাকাগুলো দফারফা হয়।
প্রাসাদ প্যারাডাইস, উইন্ডে টেরিস, প্রেস কক্স, প্রাইম পার্ক, সী উত্তরা হোটেল নামীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে খাতাপত্র আটক করে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অফিসে ডেকে নিয়ে এসে ডিসি, প্রিভেন্টিভ সুপার সব্যসাচী সিকদার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধির সাথে কথা বলে দফারফা করা হয়।
মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল হোটেল আড়াই লক্ষ টাকা, প্রাইম পার্ক থেকে ১ লক্ষ টাকা, প্রেস কক্স থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং প্রাসাদ প্যারাডাইস থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে খাতাপত্র ছেড়ে দেন। তাছাড়া অস্টারিকো ও সী উত্তরা হোটেল ২টি জনৈক কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচালনা করেন। এই ২টি প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে দেড় থেকে ২ লক্ষ ভ্যাট দিতে পারে। কিন্তু কাস্টম কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত নামমাত্র ভ্যাট দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।
উইন্ডে টেরিস নামীয় হোটেল থেকে খাতাপত্র পি.সি. প্রিভেন্টিভ টিম জব্দ করে নিয়ে আসে। তাদের প্রতিনিধিকে পরের দিন সব্যসাচী সিকদার বলেন, আপনাদের ১ কোটি টাকা দিতে হবে। দু’একদিন পর ঐ প্রতিষ্ঠান এনবিআর এর কোন কর্মকর্তাকে দিয়ে ফোন করানোর পরে প্রতিষ্ঠানের এজিএম মিজানুর রহমানকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিবেন এবং প্রথম ২৫ লক্ষ এবং পরে ২০ লক্ষ টাকা ভ্যাট জমা দেয়ার প্রস্তাব দেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনও কোন কিছু জানানো হয়নি। পরে জানাবেন বলে ম্যানেজার চলে আসেন।
তাছাড়া মধ্যম মানের অর্থাৎ থ্রি স্টার মানের হোটেল থেকে কাগজপত্র জব্দ করে নিয়ে এসে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লক্ষ ঘুষ নেন এবং ৫০ হাজার ভ্যাট জমা দিয়ে খাতাপত্র ও রেকর্ডপত্র ছেড়ে দেন।
কক্সবাজারের কিছু কিছু মধ্যম মানের হোটেল যার ভ্যাট ন্যূনতম পক্ষে ১.৫০/২.০০ লক্ষ মাসিক হওয়া উচিত। তাদের তুলনামূলক চিত্র নিম্নে তুলে ধরা হলো:
হোটেলের নাম: হোটেলের গোল্ডেন হিল-আগস্ট/২০ ৭ হাজার, সেপ্টেম্বর/২০ ১০ হাজার ও অক্টোবর/২০ ২৫ হাজার; ভিস্তা বে-৩ হাজার, ৭ হাজার, ২০ হাজার; কোরাল রীফ-৭০ হাজার, ৫৩ হাজার; রয়েল প্লেস-৬৫ হাজার, ৫২ হাজার; বিচ ওয়ে-৮ হাজার, ৩২ হাজার, ৩২ হাজার; বিচ ভিও-৪৫ হাজার, ৩২ হাজার, ৪৮ হাজার; কক্স ইন-৪ হাজার, ১৬ হাজার, ২০ হাজার; হানিমুন রিসোর্ট-২০ হাজার, ৪৫ হাজার, ৫০ হাজার; মোহাম্মদীয়া গেস্ট হাউস-১৫ হাজার, ৫৬ হাজার, ৬১ হাজার; হাইপেরিয়ান সী কুইন-২৭ হাজার, ১১ হাজার; হোটেল হাইপেরিয়ান বে-৬ হাজার, ৮ হাজার, ২৩ হাজার; ইউনি রিসোর্ট-বকেয়া, বসতি বে রিসোর্ট-২৫ হাজার; ওয়াটার অর্কিড-৬ হাজার, ২২ হাজার; হোটেল সী কক্স-২৫ হাজার, ৮১ হাজার, ৭৬ হাজার; হোটেল অ্যালবাট্রোস-২০ হাজার, ২৮ হাজার, ৩০ হাজার; সুগন্ধা গেস্ট হাউস-১২ হাজার, ১৫ হাজার, ৩০ হাজার; কোস্টাল পিস-২০ হাজার, ৬০ হাজার, ৬০ হাজার; লেগুনা বিচ-১৬ হাজার, ২৫ হাজার, ২৭ হাজার; হোয়াইট বিচ-৫ হাজার, ৬ হাজার, ১০ হাজার; ডায়মন্ড প্লেস- ১২ হাজার, ১৯ হাজার; হোয়াইট অর্কিড-৩৬ হাজার, ৩৬ হাজার, ১ লক্ষ ৩০ হাজার; কক্স বিচ রিসোর্ট-৩৪ হাজার, ৩৫ হাজার; কক্স ভেকেশন-২৭ হাজার, ১৪ হাজার; হাইপেরিয়ান সী ওয়ার্ল্ড-৮, হাজার ৩৫ হাজার; অস্টা রি কো-৫৫ হাজার, ১২ হাজার, ১৩ হাজার; স্বপ্নালয় স্টুডিও-১৫ হাজার, ১২ হাজার, ১৩ হাজার; ঊর্মি গেস্ট হাউস-১১ হাজার, ২৫ হাজার, ৩৫ হাজার; সুইট সাদাব-১২ হাজার, ২৫ হাজার, ৩২ হাজার।
এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে উক্ত কর্মকর্তাগণ ভ্যাট প্রিভেন্টিভ ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুষ এর টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কেউ ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা করে দেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ংধষব াধৎরভরপধঃরড়হ করারও হুমকি দিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য যে, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ আবু রাসেল এবং তৌফিক আহমেদ কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় ব্যবসায়ী মহল ভয়ভীতির কারণে এবং ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মুঠোফোনটি রিসিভ করেন নি। রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী সিকদার সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে একটি প্রটোকলে আছেন, পরে কথা বলছি বলে লাইনটি কেটে দেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস একসাইজ ও ভ্যাটের বিভাগীয় কমিশনার আকবর হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। ঘুষ, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিষয়ে আমি অবহিত নই। যদি অভিযোগ পাওয়া যায়, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের এমন দুর্নীতির কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থা, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুশীল সমাজ ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান (রাজীব), মীরসরাই : : মীরসরাই উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শেখ টোলা গ্রামের কৃতি সন্তান সুপ্রিমকোর্টের ...বিস্তারিত
বান্দরবান প্রতিনিধি : : বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে কানা মাঝি কোনাপাড়া আর্মি ক্যাম্প এলাকায় বন্য হাতির ...বিস্তারিত
রিমন রশ্মি বড়ুয়া : : চট্টগ্রামের খানহাট-ধােপাছড়ি-বান্দরবান জেলা মহাসড়কের হাসিমপুর ইউনিয়ন অংশ পর্যন্ত ৩ কিলােমিটা...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি : : কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর হাসেরদী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুর থেকে মো. জামাল নামে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ জা...বিস্তারিত
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : : ফটিকছড়ি উপজেলার শোভনছড়ি বনবিট এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে কোটি ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited