শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪:৫৬ পিএম, ২০২০-১২-০৮
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীগ বসাকের দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১ ডিসেম্বর সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক। ৩ ডিসেম্বর সেটি সিসিসিতে পৌঁছায়।
১০ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদকের চাওয়া তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
সিসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকের বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ’ তদন্তে নথিপত্র পর্যালোচনা প্রয়োজন বলে দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ তদন্তে দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এবং প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসনকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দলও গঠন করা হয়েছে।
যেসব নথি চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে- হালিশহরে সিসিসি’র গার্বেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের যন্ত্রপাতি ক্রয়, এমপ্রিভিয়াস এক্সেভেটর ক্রয়, সাগরিকা স্টোর ইয়ার্ড ও হালিশহর ডাম্পিং স্টেশনের জন্য দুই ওয়ে ব্রিজ ক্রয়, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাল খনন, ৫০ টন ওয়ে ব্রিজ স্থাপন কাজের কার্যাদেশ, লং বুম স্কেভেটরের যন্ত্রাংশ সরবরাহের টেন্ডার, পাথর ডিপোতে পাথর গ্রহণ ও বিতরণ, ২০১৯ সালে সিসিসি’র যানবাহনে জ্বালানি তেল সরবরাহের তথ্য এবং পে লোড ও ডাম্প ট্রাক সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্য।
এসব কাজের ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদনপত্র, অনুমোদিত প্রাক্কলন, বরাদ্দপত্র, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, ঠিকাদারের দাখিল করা দর, দরপত্রের তুলনামূলক বিবরণী, মালামাল বুঝে পাওয়ার রেকর্ড এবং সব ধরনের বিলের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে দুদক কর্মকর্তা আনোয়ারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘মিটিং আছেন’ বলে এড়িয়ে যান।
দুদকের নথি তলবের বিষয়ে জানতে চাইলে সিসিসি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “দুদক নথিপত্র ও তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বলে জেনেছি। তবে এখনো চিঠিটি অফিসিয়ালি আমি পাইনি।”
২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদকের গণশুনানিতে সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রকৌশলী শামসুল হুদা সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, সাগরিকার দুটো (নতুন ও পুরনো) এসফল্ট প্ল্যান্টের মধ্যে পুরোনটিতে ৬৩ জন কর্মরত আছেন। তারপরও ১২৯ জন লোক নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়াদের অধিকাংশই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকের আত্মীয়-স্বজন।
২০১৬ সালে ট্রলি সংস্কার দেখিয়ে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিল করে কোটি টাকা সুদীপ বসাক ও সংশ্লিষ্টরা আত্মসাত করেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
এছাড়া সাগরিকায় করপোরেশনের পাথর ডিপোতো হিসাবের গরমিলের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা সুদীপ বসাক আত্মসাত করেন বলেও অভিযোগ করেন শামসুল হুদা।
শুনানিতে আরও একজন অভিযোগ করেন, ৫০ টন ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়ে ব্রিজ (গাড়িসহ পণ্য পরিমাপক যন্ত্র) স্থাপন ও সরবরাহের কাজ এক চাচাতো ভাইকে দিয়েছেন সুদীপ বসাক।
এছাড়া জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সুদীপ বসাককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার তিন সহকর্মী। সেদিন শুনানিতে ‘নিয়ম নীতি মেনেই’ সব করা হয়েছে দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সুদীপ বসাক।
অভিযোগ রয়েছে, সুদীপ বসাক দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর ঘাট কর্ণফুলী নদীর চর ঘেঁষে প্রতিদিন কাটা হচ্ছে ছোট-বড় জাহাজ ও ভ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বহদ্দারহাট, বলিরহাট, ঘাসিয়া পাড়া, খাজা রোড এলাকায় গণসংযোগ করেছেন চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিয...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মেয়র ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৭৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ জন। এ নি...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারই বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদার এর ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হও...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited