ই-পেপার | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪
×

মোখার উপকূল অতিক্রম: রাতে চট্টগ্রাম বন্দর, সকালে বিমানবন্দর খুলছে

ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রমের পর বিপদ কেটে সতর্ক সংকেত কমলে এবং চট্টগ্রাম নিরাপদ থাকলে আবার কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে সমুদ্র বন্দর ও শাহ আমানত বিমানবন্দর।রোববার রাত থেকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে অপারশেনাল কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক। অপরদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম হাছান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোখা’র বিপদ কেটে গেছে, বিপদ সংকেতও কমানো হয়েছে। আশা করছি সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

ইতোমধ্যে বিমানবন্দর সচলে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে সোমবার সকালে কোন ফ্লাইটটি আসবে বা যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি।অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় মোখা চট্টগ্রামের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার দিনের ভাগে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল হয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কার্যক্রম শুরু করেন।বিমানবন্দরের মতো শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর জাহাজগুলো বহিনোঙরে পাঠানো হয়। বন্ধ রাখা হয় পণ্য সরবরাহ কার্যক্রমও।

বন্দর সচিব ফারুক জানান, রোববার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। তবে জেটিতে জাহাজ ভিড়বে সোমবার সকালে।তিনি বলেন, “সিগন্যাল কমার পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্দরের সচলতা শুরু হয়েছে বলা যায়। বন্দরের শেড থেকে পণ্য সরবরাহের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, কেউ আসলে সরবরাহ দেওয়া যাবে।” তিনি জানান, সোমবার ভোরে জোয়ারের সময় আউটারে যাওয়া জাহাজ ফিরবে। এরপর জেটিতে জাহাজ ভিড়লে পণ্য ওঠানামা শুরু হবে।