ই-পেপার | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪
×

ইভিএম কিংবা ব্যালট নয়, বিএনপির নিজেদের প্রতিও আস্থা নাই-তথ্য মন্ত্রী

বিএনপির ব্যালটের প্রিতিও কোন আস্থা নেই, ইভিএমের প্রতিও কোন আস্থা নেই। আসলে বিএনপির নিজেদের প্রতিও কোন আস্থা নাই। কারণ বিএনপি জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এটা তারা জানে। এভাবে ক্রমাগত নির্বাচন থেকে পালিয়ে যেতে যেতে এক সময় বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।

কাল (০৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ক্যাম্পাস চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর স্পেশাল কনভোকেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ডিন ডেভিট টেইলর বীনাকোনা এর সভাপতিত্বে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর কামাল আহমেদ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বর্তমান ভিসি রুবানা হক, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস এর চেয়ারম্যান প্রফেসর এন্ড্রে সেনকেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নেহাল আহমেদ প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সাথে তারা সর্বশক্তি দিয়ে নিবার্চনে অংশগ্রহণ করেও মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে সাকলকে নিয়ে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল ৬টি আসন, মহিলা আসন সহ ৭টি। তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা কমে গেছে। সে জন্য বিএনপির নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আস্থা নেই। তারা শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে, পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, দেশবিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আর বিদেশীদের হাতে পায়ে ধরছে। এগুলো করে কোন লাভ হবে না।

এসময় মন্ত্রী বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়ে ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন যদি নির্বাচনে আসে তবে তাদের জন্য মঙ্গল হবে।

তিনি আরো বলেন, এটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করেছে। যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিশ^বিদ্যালয় বোর্ডের চেয়ারম্যান। এদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে এতো বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তারা সরকারের কাছে আরও জমি বরাদ্দের আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গত ১৪ বছরে নারীদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখন দেশের সকল ক্ষেত্রে নারীরা কাজ করছে। এখন আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, পুলিশের এসপি, ডিসি প্রায় সব ক্ষেত্রে নারীরা কাজ করছে। একসময় নারী ডিসি বা এসপি অথবা ইউএনও হবে সেটা কল্পনাও করতে পারেনি।