ই-পেপার | মঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
×

বাঁশখালীর জলকদর খালের বেইলি ব্রিজ যেন এক ‘মরণ ফাঁদ’

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ও চাম্বল ইউনিয়ন সংযোগ জলকদর খালের নির্মিত বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার বিহীন হয়ে পড়ে থাকায় যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পারাপারে অযোগ্য তবুও ঝুঁকি নিয়ে দৈনন্দিন পারাপার করছে স্কুল -মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ অন্তত ২০ হাজারের উর্ধ্বে পথচারী, প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।

তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, বেইলি ব্রিজটির বেহাল পরিস্থিতি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার করছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।গণ্ডামারা-বড়ঘোনার সাথে উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ দিয়ে বিভিন্ন স্কুল- মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজারের উর্ধ্বে মানুষ পারাপার করে থাকে।

ইতিপূর্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে জিওবি ফান্ড হতে এই ব্রিজটি সংস্কারের জন্যে ৫০ লাখ টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংস্কার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল,দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে দায় সারাতে নড়বড়ে কাজ করে চলে যায় সাম্প্রতিক দায়িত্ব পাওয়া টিকাদার।স্বল্প সংস্কার কাজের কিছুদিন যেতে না যেতেই পাটাতন গুলো পূনরায় ধ্বংস হয়ে পড়ে ওই ব্রিজটি আবারও চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে, এতে প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে দূর্ঘটনা।

স্থানীয় জাকেরুল হক সিকদার, ডা.রহমান,জমির উদ্দিন, সুফি আলমসহ বেশ কয়েকজন গণ্যমান্যের সাথে কথা বলে জানা যায়,রমজানের আগের সপ্তাহে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ৭/৮ জন মানুষ দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।গণ্ডামারা-বড়ঘোনা এলাকায় উৎপাদিত লবণ ও চিংড়ি সংগ্রহের জন্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা গণ্ডামারা এলাকায় ছুটে আসে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে আসা বোট গুলো বাংলা বাজার এবং খাটখালী জেটিতে ভিড় জমায়,সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা ইলিশসহ বিভিন্ন জাতের মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়।লবণ বোঝাইসহ ট্রাক, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের বড় বড় যানবাহন গুলো নিয়ে পারাপার করে থাকে।

এছাড়াও এস আলম ও চায়নার যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও সম্ভাব্যময় ইকনোমিকস জোন এলাকাও এই গণ্ডামারা।দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষের কাছে গণ্ডামারা এলাকাটি পরিচিত। এই ঐতিহ্যপূর্ণ গণ্ডামারা ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত মাধ্যম বাংলা বাজার বেইলী ব্রিজটি যেন মরণ ফাঁদ। তাই নিত্যদিনের ভোগান্তি ও দূর্ঘটনারোধ করতে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের আবেদন জানান তাঁরা।

এই বিষয় বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন,লবণ বোঝাই নিয়ে ট্রাক পারাপারের কারণে ব্রীজটির পাটাতন গুলো নষ্ট হয়ে গেছে,লবণবাহী গাড়ি চলাচল করলে বেইলী ব্রিজের পাটাতন গুলোতে খুব দ্রুত মরিচা ধরে যায়, যার ফলে পাটাতন নষ্ট হয়ে যায়। আর বাংলা বাজার বেইলী ব্রিজের পাটাতন নষ্ট হয়ে পড়ার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, বেইলি ব্রিজ সংস্কার কাজে কোন বরাদ্দ আপাতত নেই,তবু বাঁশখালীর বেইলি ব্রিজ এবং অন্যান্য সেতু গুলো সংস্কারের জন্যে আমাদের আলাদা একটি প্রজেক্ট রয়েছে। বাংলা বাজার বেইলী ব্রিজটি সংস্কারের জন্যে আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।