ই-পেপার | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩
×

ছেলের গুলিতে মা খুন, সেই মাঈনুলের বিরুদ্ধে ফরেনসিক রিপোর্টের পর অস্ত্র আইনে মামলা

অর্থ ও সম্পত্তির লোভে মাকে গুলি করে খুন করা সেই পুত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে পটিয়া থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা রেকর্ড হয়েছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সামশুল আলম মাষ্টারের পুত্র মাঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুদ্দীন মাঈনুর (২৯) বিরুদ্ধে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শনিবার অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তির লোভে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পটিয়া পৌর সদরের সবজার পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ছেলের গুলিতে খুন হন জাপা নেতা সামশুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৬০)। এ ঘটনার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পার্টির পটিয়া বাস-স্টেশন এলাকায় অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল উদ্ধার করলেও এটি সচল নয় বলে দাবি করায় সিআইডির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অস্ত্রটি পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ মাস পর সিআইডি’র ফরেনসিক তদন্ত প্রতিবেদনে অস্ত্রটি সচল এলে পুলিশ বাদী হয়ে মাঈনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।

এর আগে খুনের ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মাকে খুন করে মাঈনু চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে সে পরিচিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সাতকানিয়ায় গা ঢাকা দেয়। সেখান থেকে গত ১৭ আগস্ট রাতে বাসে করে ঢাকায় পালানোর সময় শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে র‌্যাব-৭ এর একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছেন।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, মাকে খুন করার পর জাতীয় পার্টির পটিয়া অফিস থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় অস্ত্রটি সচল নয় বলে দাবি করায় এটি সিআইডির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর অস্ত্রটি সচল হিসেবে রির্পোট পাওয়ায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে মাঈনুর বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রেকর্ড হয়।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মনোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তকে বলেন, মাঈনু তার মাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা সেদিন রাতে তার পিতা জাপা নেতা সামশুল আলম মাস্টারের পার্টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একটি অস্ত্র উদ্ধার করি। এরপর সে অস্ত্রটি সচল নয় বলে দাবী করা হলে আমরা অস্ত্রটি সিআইডিতে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর তারা অস্ত্রটির পরীক্ষার পর সচল বলে রির্পোট দিলে আমরা মাঈনুর বিরুদ্ধে আরো একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছি।

উল্লেখ্য, মাকে গুলি করে খুন করার পর ছেলে মাঈনুর বিরুদ্ধে এপর্যন্ত ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটিতে তার বড় বোন, অপর দুটিতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন।