ই-পেপার | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
×

চসিকের প্রকল্প পরিচালকের কক্ষ ভাঙচুর

নগরের টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কার্যালয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন কয়েকজন ক্ষুব্ধ ঠিকাদার। এ সময় প্রকল্প পরিচালক ওই কক্ষে ছিলেন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে চারটার দিকে চসিক ভবনের চতুর্থ তলার ওই কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় প্রকল্প পরিচালকের নামফলক, টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন ঠিকাদাররা।

চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, কয়েকজন ঠিকাদার আমাদের প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে হামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রকল্প পরিচালককে মারধর করেছেন, চিল্লাচিল্লি করেছেন। টিভি, গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। আমরা অবশ্যই অ্যাকশনে যাচ্ছি। সিসি ক্যামেরার পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে কারা ছিলেন। ছবি বের করছি। যে ছেলেটার নেতৃত্বে এসেছে তাঁর নাম সাহাবুদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এরা হয়তো মনে করেছে বিভিন্নভাবে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। আমি আগেও বলেছি স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে কাজ করা হবে। পিডি ভয়ভীতিতে মাথানত করেন না। ওরা হয়তো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাজ পাননি।

কেউ যদি ক্ষুব্ধ হয়, অভিযোগটা আমার কাছে আনতে পারতো। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যদি কাজ না পান, সেখানে পিডি কাজ দিতে পারেন না। ইজিবিতে লটারির কোনো সিস্টেম নেই। নিয়ম অনুসরণ করে যদি কেউ কাজ পেয়ে থাকেন, তাহলে করার কি আছে। কারচুপি করার কোনো সুযোগও নেই।

মামার বাড়ির আবদার না যে, আমাকে কাজ দিতে হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটছে কি-না সেটাই প্রশ্ন। জড়িতরা চসিকের ঠিকাদার হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। সব বিভাগে চিঠি দেব যাতে কাজ না পান। একজন অফিসারকে নিজের চেম্বারে এসে মারধর, হাত তোলার যে উদ্যত দেখিয়েছে আমরা মামলা করবো।