ই-পেপার | শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
×

গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগকর্মীরা রক্ত দিতে প্রস্তুত: মেয়র

বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকর্মীরা রক্ত দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গণহত্যার শিকার হওয়া ২৪ জন শহীদের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত সভায় মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বীর চট্টলার আওয়ামী লীগকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতার প্রাণ কেড়ে নিলে বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে আবারো বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নামে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকর্মীরা। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৮৮ সালে ২৪ জন আওয়ামী লীগকর্মী নিজেদের তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দেয়। আমি সেদিন প্রাণ হারানো প্রতিটি রাজনৈতিক সহকর্মীর আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

আজকে আবারো বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের হুশিয়ার করে বলছি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রয়োজনে নিজেদের জীবন বলিদান করবে কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে দিবেনা।
সমাবেশের পর মেয়র ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে ২৪ জানুয়ারি নিহত শহীদদের স্মৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, জহর লাল হাজারি, নাজমুল হক ডিউক, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আবদুস সালাম মাসুম, মোহাম্মদ জাবেদ, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবায়দা নার্গিসসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদিঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী। নিহতরা হলেন-সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।