চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ভবন ঘেরাও করেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ডিজিটাল হাজিরা বাতিল ও ম্যানুয়েল সিস্টেমে হাজিরা দেওয়ার দাবিতে তারা মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের বাইরে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাজিরা বাতিলের স্লোগান দেয়। বিক্ষোভের কারণে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী কার্যালয়ে আটকে পড়েন। পরে বিকেল চারটার দিকে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মেয়রের আশ্বাস পেয়ে তারা বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, ডিজিটাল হাজিরার কারণে তাদের বেতন কেটে রাখা হয়েছে। তারা আগের নিয়মেই ম্যানুয়েল হাজিরা দিবে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাজিরা বন্ধ করতে হবে। নগরভবন ঘেরাও রাখার বিষয় নিশ্চিত করে চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ সিভয়েসকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডিজিটাল হাজিরা দিতে রাজি না। তারা চায় আগের নিয়মে গড় হাজিরা দিতে। ফিঙ্গারপ্রিন্টে ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করায় অনেকের বেতন কাটা হয়েছে। এ কারণে তারা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে চসিকের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের দাবি তো কোনোভাবেই যৌক্তিক না। ভুয়া নামে বেতন তোলা আবার কর্মস্থলে না এসেও হাজিরা দেখানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে ডিজিটাল হাজিরা চালু করা হয়েছে। তারা এটা মানতে চায় না। এ কারণেই আন্দোলন করছে। কিন্তু এটা তো মেনে নেওয়ার মতো বিষয় না। কারণ তারা ঠিকমতো কাজ না করলে শহর অপরিষ্কার থাকবে। তখন আপনারা এবং নগরবাসীও এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। এরপরেও কর্তৃপক্ষ কি সিদ্ধান্ত নেয় দেখি।
প্রসঙ্গত, প্রতি ওয়ার্ডে বিতর্কিত ডোর টু ডোর প্রকল্পসহ ৪টি বিভাগের কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা চালু করে চসিক। এতে চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে কর্মরত ডোর টু ডোর, পরিচ্ছন্নতা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সচিবালয় শাখার প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মীর ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আসে।
