ই-পেপার | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪
×

চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায় যা হয়নি, চট্টলদরদী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে তা করে দেখিয়েছেন চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন চসিক মেয়র

চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমিতে আজ বৃহষ্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মিড-শিপম্যান ২০২০ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ব্র্যাভো) ২০২২ ব্যাচের কমিশন উপলক্ষে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রতিমন্ত্রী মর্যাদাপ্রাপ্ত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসন ও যাতায়াত সুবিধা বাড়াতে রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার বড় প্রকল্প অনুমোদন ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ সংক্ষিপ্ত আলাপে চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করতে পরিকল্পনা গ্রহন ও কাজ করে যেতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন চসিক মেয়র। এ প্রসংগে মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের প্রশ্নে অত্যন্ত আবেগময়ী ওঠেন।

চট্টগ্রামের সাথে তাঁর শৈশব থেকেই নিবিড় সম্পর্ক ও স্মৃতিকাতরতার কথা তিনি বরাবরই বলে থাকেন। চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর আস্থা ও তাঁর নিজের প্রতি চট্টগ্রামের মানুষের ভালবাসা, রাজনৈতিক সহযোগিতা ও জীবন উৎসর্গের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে আলোড়িত করে তোলে। তাই চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে বিগত ১০/১২বছরে চট্টগ্রামবাসীকে অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্প উপহার দিয়েছেন, চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম আধুনিক ও স্মার্ট মহানগর ও জেলার দিকে। সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায় যা করা সম্ভব হয়নি, চট্টলদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে তা করে দেখিয়েছেন। কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মান করে দেখিয়েছে।

যা চট্টগ্রামকে সাংহাই এর আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেকটা দুর। মীরেশ্বরাই ও আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পর্যটন শহর কক্সবাজার ও বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থার বহুমুখীকরণে সড়কের পাশাপাশি, রেলপথ সম্প্রসারণ, কক্সবাজার বিমান বন্দরকে সর্বাধুনিক সুবিধার আওতায় এনে আন্তর্জাতিকীকরণ, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিকে দ্রুত উন্নয়নের আওতায় আনার ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পুরোটাই হয়ে ওঠছে শহর।