ই-পেপার | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪
×

নতুন প্রজন্ম তৈরী হও, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ : এ. ডব্লিউ চৌধুরী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম

কাল মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় এম. এ আজিজ স্টেডিয়াম গোল চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয় এবং একই সাথে বিজয় মঞ্চের চার দিনব্যাপী কার্যক্রম সূচিত হয়। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমজনতার এক আনন্দঘন আবেগ অনুভুতিমালায় জয় বাংলা স্লোগানের মধ্যে দিয়ে উদ্ভোদক “অপারেশন জ্যাকপট” এর অধিনায়ক কমোডর এ.ডব্লিউ চৌধুরী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম এবং প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএমপি পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় (বিপিএম বার, পিপিএম বার) বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের অগ্নিশলাকা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর সন্তান কাজী রাজেশ ইমরানের হাতে হস্তান্তর করলে তারা তা বিজয় শিখার টাওয়ারে স্পর্শ করা মাত্রই বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে।

তুমুল হর্ষধ্বনি ও স্লোগান মুখরিত এক আবেগ ঘন পরিবেশে কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, হে নতুন তোমরা প্রস্তুত হও, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্ভোদক, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ বিজয় মেলার কর্মকর্তাগণ জাতীয় সংঙ্গীতের সূর মূর্চ্ছনায় জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলন করেন। এর পর পরেই বিজয় মঞ্চে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্দীপনামূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শেষে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এত ত্যাগ, এত রক্তঞ্জালি আর কোথাও নেই। এমনকি একটি ঘাতক অপশক্তি যাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি, যাদের কোন সভ্যতা মর্যাদা ও সুস্থতা নেই। বর্বরতা, বিকৃতি, পাশবিক দস্যুতা তাদের রক্তের প্রতিটি কণায় মিশে গিয়ে ছিল বলেই আমরা মধ্যেযুগীয় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলাম এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র¿ হয়েছিল এবং হানাদারদের আত্মসমার্পনে বাধ্য করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।

বিশেষ অতিথি সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়(বিপিএম বার, পিপিএম বার) বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুলিশ বাহিনী প্রথম প্রহরে মুক্তি বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বের সাথে ভুমিকা রাখেন। ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করেপুলিশ বাহিনী সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।সবচেয়ে বড় কথা একটি সশস্ত্র সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করতে করতেই সশস্ত্র হয়ে উঠে এবং তাদের কাছে হানাদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক পরাজয় স্বীকার করাটা ইতিহাসেরই একমাত্র দুর্লভদৃষ্টান্ত। এটাও পৃথিবীর মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দ্যেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক শক্তি কঠিন দুঃসময়ে এই বিজয় মেলা আমাদেরকে ঘুরেদাড়াঁবার শক্তি দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও এ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেনবীর চট্টলার মাটি ও মানুষের নেতা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সহধর্মিনী মহনগর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দীন,উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোঃ আবদুল ওয়ারিশ,উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোঃমোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম বার), বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্টুলাল সাহা, মহিউদ্দীন রাশেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান স্কোয়াড এর আহবায়ক বোরহানুল হাসান চেীধুরী সালেহীন প্রমুখ।