ই-পেপার | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪
×

দূর্বলদের ওপর আঘাত করা যেনো নিত্যদিনের কাজ হয়ে পড়েছে সবল মানুষদের : মিজানুর রহমান চৌধুরী

রাষ্ট্র কতৃক জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারা জুলুম নির্যাতন বৃদ্ধি এখন মানবাধিকার পরিস্থিতির অন্যতম একটি অংশ। রাষ্ট্র গুম- বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড,রিমান্ডের নামে নির্যাতন এগুলো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার কর্মীরা রাষ্ট্র কতৃক রোষানলের শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শুধু মানবাধিকার কর্মী নয় দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মায়ের ডাক ও অধিকার

আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক আমাদের বাংলার সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি আরো বলেন সবসময় দূর্বলদের ওপর আঘাত করা যেনো নিত্যদিনের কাজ হয়ে পড়েছে সবল মানুষদের। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, লেখক- সংগঠক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অধিকারের ফোকাল পার্সন ওচমান জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুজিব উল্লাহ তুষার, লেখক-সাংবাদিক ইমরান সোহেল, বিশিষ্ট নজরুল শিল্পী ফরিদা করিম, মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুরুল ইসলাম, সাংবাদিক পারভীন আকতার, মানবাধিকার কর্মী ফৌজিয়া আক্তার লোটন, এইচআরডি মীর বরকত হোসেন, সংগঠক সজল দাশ, সংগঠক জানে আলম, সংগঠক প্রিয়াঙ্কা মন্ডল, গীতিকা গাইল, কবি সংগঠক অভিলাষ মাহমুদ, মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ।

এইচআরডি নেটওয়ার্ক সভাপতি আবদুল্লাহ মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন মানবাধিকার কর্মীও আজ নিরাপদ নয়, তাদেরকেও কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করাও অবান্তর এসব থেকে বেরিয়ে আসাও জরুরি, মানবাধিকার কর্মীদের ওপর থেকে মনিটরিং তুলে নেওয়া জরুরি ও অবিলম্বে তাদেরকে নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা হোক।

বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও। শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পালিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ খ্রিঃ ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ খ্রিঃ ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।