ই-পেপার | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪
×

কর্ণফুলী নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ

২০২০ সালে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ দিন অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। পরে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় দুই হাজারের অধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা থেকে বাদ পড়ে।

পরে আবারও দখল হয় নদীর তীর। এর পর থেকে কর্ণফুলী নদীর তীর ভরাট করে কেউ তৈরি করেন দোকানপাট, অনেকেই আবার নদী ভরাট করে বাঁধ দিয়ে চালাচ্ছেন ব্যবসায়িক কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দখল ও দূষণকৃত নদী হচ্ছে কর্ণফুলী। যে যেভাবে পারে সেভাবে দখল করছে এ নদীকে। সরকারি তালিকাতেই অবৈধ দখলদার আছে দুই হাজারের বেশি। এভাবে দখল হতে চললে কর্ণফুলী নদী বাঁচানো সম্ভব হবে না৷ এ নদী অচিরেই হারিয়ে যাবে।এর ব্যাপক ভাবে প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে।

জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর তীরে উচ্ছেদকৃত জায়গা কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নতুন করে দখল করছে- এমন অভিযোগ উঠে। পরে বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সে জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একটি টিম কর্ণফুলী নদীর দখল হওয়া স্থান পরিদর্শন করেন। টানা এক সপ্তাহের অভিযানে দখল হওয়া প্রায় ৮০ ভাগ জায়গা উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স কর্তৃক নির্মিত বাঁধ সম্পূর্ণ অপসারণ করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।

তিনি বলেন, উচ্ছেদকৃত সরকারি জায়গায় কর্ণফুলী শীপ ব্রেকার্স কর্তৃক পুনরায় তৈরিকৃত বাঁধ ও ভরাটকৃত জমি অপসারণের কাজ শুরু হয় ২৮ অক্টোবর থেকে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ণফুলী শীপ ব্রেকার্স অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে কাজ শেষের দিকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ বাঁধ সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা সম্ভব হবে।

এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, নতুন করে কর্ণফুলী দখল বন্ধ করা এবং সদরঘাট সংস্কারের দাবি জানান চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, সৃষ্টি, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন এবং ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতি।